সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ার দখলে টিটো-মোশারুলের লড়াই, কার পক্ষ নেবে আ’লীগ আটপাড়ায় প্রধান শিক্ষকগণের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কয়রার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা ঠাকুরগাঁওয়ের মাদারগঞ্জ গরু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সাথে মতবিনিময় সভা প্রতারণার নতুন কৌশল ঠাকুরগাওয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা সহ পাকাবসতবাড়ী নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা আটপাড়ায় খুদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও এম. সাজ্জাদুল অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ঠাকুরগাঁওয়ে বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের এক্সরে মেশিনটি প্রায় ১৫ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, আর অন্যদিকে চিকিৎসক সংকট ফরিদপুরে গরমে বেড়েছে তাল শাঁসের বিক্রি
বান্ধ্যাত্ব করণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

বান্ধ্যাত্ব করণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

বান্ধ্যাত্ব করণ, লক্ষণ ও  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : 

অল নিউজ এজেন্সি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ নারী-পুরুষদের বান্ধ্যাত্বে কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় যায়। রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডেকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ডিগ্রী অর্জন করা এই চিকিৎসকের দাবি- বান্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য করা সম্ভব। ইতোমধ্য চিকিৎসার মাধ্যমে বেশ কিছু বন্ধা নারী সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে নিঃসন্তান দস্পতিদের মুখে হাসি ফুটে উঠুক এটাই এই চিকিৎসসের প্রত্যাশা। বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাতের প্রবণতায় অনেক স্ত্রীলোক মা হতে সক্ষম হয়েছে। নারীদের এধরণের সমস্যায় থাকা স্ত্রীদের জন্য সুখবর হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব সহজেই সমস্যাসমূহ ভালো করে সন্তান জন্মদানে সক্ষম হতে পারেন।

নারীদের বন্ধ্যাত্বের বেশী কারণগুলো মধ্যে হলো- ওভারিয়ান সিস্ট-টিউমার, জরায়ুর টিউমার বা ফাব্রোয়েড, এনলার্জড ওভারী দায়ী, । এছড়াও অনেক ক্ষেত্রে রয়েছে মাসিকের অনিয়ম বা আপাত দৃষ্টিতে কোন কারণ ছাড়াই বন্ধাত্ব চলতে থাকে।
চাঁদের মতো ফুটফুটে সন্তানের মুখ দেখতে কোন বাবা-না নান। যে সব নারীদের সন্তান না হয় তাদের মনে অনেক কষ্ট হয়। বহু করণে অনেক স্ত্রী মা হতে অক্ষম। একটি সন্তান লাভের আশায় বা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় অনেকে অনেক টাকা নষ্ট করেও ব্যর্থ হয়েচ্ছেন। তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে আরোগ্য হোমিও হল এর চিকিৎসক ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)। বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে ৯০% নিশ্চিয়তা দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল- ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

বন্ধ্যাত্ব কি?
বন্ধ্যাত্ব বলতে বোঝায় বিয়ের পর সম্পূর্ণ ১ বছর পার হয়ে গেলে স্বামী- স্ত্রী দুইজনেই সন্তানের জন্য উদগ্রীব হওয়া সত্বেও তাদের কোন সন্তান না হওয়া বা যদি কোন নারীর সন্তান ধারণ একেবারে অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হয় তাকে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলে। কিন্ত যদি চিকিৎসার পদ্ধিতির সাহায্যে নারী সন্তান লাভ করতে পারে তাহলে তা ঠিক প্রকৃত বন্ধ্যাত্ব নয়।

বন্ধ্যাত্বের শ্রেণী বিভাগ :
সাধরণত বন্ধ্যাত্বকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যাথা :
(ক) প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব
অর্থাৎ বিবাহ পর থেকে সন্তান লাভ একেবারে না করা।
(খ) সাময়িক বন্ধ্যাত্ব
অর্থাৎ বিয়ের পর একটি সন্তান হয়ে গেলে তারপর থেকে চিরদেনের মতো আর সন্তান না হওয়া। এই ধরণের রোগীদের সাময়িক অবস্থায় বন্ধ্যাত্ব না হলেও পরবর্তী কালে বন্ধ্যাত্ব হিসাবে গন্য করা হয়।

বন্ধ্যাত্বের করণ :
১/ স্ত্রীরা সাধারণত বিভিন্ন কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে নিন্মে দেওয়া হলো যেমন :
২/ টেসটিস অবশ্য সুস্থ, শুক্রকিট সৃষ্টি করবে।
৩/ ওভারী অবশ্য শুস্থ, ওভাম সৃষ্টি করবে।
৪/শুক্রটিক ও ডিম্বানু ঠিকমত মিলন হবে।
৫/ উপরের তিননিটির মধ্যে যে কোনও একটির অভাব হলে সন্তান সৃষ্টি হবে না।

স্ত্রীদের বন্ধ্যাত্বের ফিজিওলজিক্যাল কারণ :
কখনো কখনো স্বাভাবিক নিয়মে নারীর সন্তান ধারণ সম্ভব হয় না যেমন :
ক/ স্ত্রী বা নারীর ডিম্বকোষে ডিম্ব উৎপাদনের বয়স না হলে।
খ/ স্ত্রী বা নারীর বেশী বয়সে মেনপোজ হয়ে গেলে।
গ/ স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে নতুন সন্তান হবে না।
ঘ/ অনেক সময়ে নারী বা স্ত্রী দুগ্ধ চলাকালীন সময়ে নারী সন্তানবতী হয় না।

 বন্ধ্যাত্বের ফিজিওলজিক্যাল কারণ :
১/ পুরুষের শুক্রকিটের ক্রোমজম ঠিকমত ভাবে না থাকা বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত ২/ ক্রোমজম ঠিকমতো সৃষ্টি না হওয়া।
৩/ ডিম্বকোষে সন্তান সৃষ্টির মত ডিম্ব সৃষ্টি না হওয়া।
৪/ শুক্রকিট ও ডিম্বর মিলন ঠিকমতা না হওয়া।
৫/ বিভিন্ন রোগের কারণে সন্তান সৃষ্টি ক্ষমতা শক্তি লুপ্ত হওয়া।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ফিজিওলজিক্যাল কারণ :
ক/ ডায়াবেটিস রোগ হওয়া।
খ/ যৌন ক্ষমতা শক্তি কমে যাওয়া
গ/ এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ যদি কম হয়, পিটুইটারী গ্রন্থি কাজ কম হলে, এবং পুরুষ বেশী মোটা বা ফাটি হয়ে গেলে।
ঘ/ মানসিক অবস্থা- পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর মনের মিল না হওয়া।
ঙ/ নারীর জীবনে যৌন চাহিদা অনীহা থাকা।
চ/ অন্য নারীর প্রতি আর্কষণ ছিল কিন্ত তাকে বিবাহ করতে পারেনি বলে মনে খুব দুঃখ থাকা ইত্যাদি। তবে এর পরিমান খুব কম।

পুরুষের জেনিটাল কারণ :
১/ টেস্টিস ঠিক মত গঠিত না হওয়া।
২/ দীর্ঘদিন যাবত জটিল রোগ-ব্যাধিতে ভোগা, যেমন- ম্যালেরিয়া, কালাজ¦র, টাইফয়েড, বসন্ত প্রভৃতি।
৩/ অতিরিক্ত গরমে পরিশ্রমের কাজ করা।
৪/ যৌনাঙ্গের রোগ যেমন – গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভতি।
৫/ জন্মগত বীর্যে কোন শ্রক্রিকিটক না থাকা।
৬/ হাইড্রোসিল, ফাইলেবিয়া, একশিরা, প্রভৃতিতে ভোগা।
৭/ ভুল প্রথায় যৌন মিলন করা যেমন – ঠিকমত বীর্য জরায়ুতে প্রবিষ্ট না হওয়া। তবে এটি খুব কম হয়।

নারীর জন্য কারণ :
ক/ নারীর ডায়াবেটিস রোগ।
খ/ নারীর অতিরিক্ত রক্তশুন্যতা, দৈহিক অপুষ্টি, প্রভৃতির জন্য সন্তান ধারণে অক্ষমতা লোপক পাওয়া।
ঘ/ হরমোন জনিত বাধা যেমন- পুরুষের মত স্ত্রীরও হরমোনাল ইম্বালাস, অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া, ঠিক মতো ঋতু না হওয়া, বাধক প্রভৃতি।

মানসিক করণ :
আঘাত, শোক, পুরুষের প্রতি বিরক্তি, সন্তান ভীতি প্রভৃতি।

জেনিটাল কারণ :
১/ যৌনীর জন্মগত অপরিণতি, যৌনী ক্রিয়াশীল না থাকা প্রভতি।
২/ সারভিক্স উপরে উঠে যায় ও তার জন্য যৌন ক্রিয়াতে ব্যাঘাত।
৩/ সারভিক্স ঠিকমত না থাকা অথবা রোগাগ্রস্ত সারভিক্স।
৪/জরায়ুর গঠন ঠিকমত না হওয়া।
৫/ জরায়ু সন্তান ধারণে অক্ষমতা, তার সঙ্গে যোনিনালীর সম্পর্ক না থাকা।
৬/ ডিম্বনালীতে অবস্টাকশন জনিত বাধা বা ওভারীর ঠিকমতো কাজ না করা, ওভারিয়ান টিউমার।
৭/ গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভতি রোগে আক্রান্ত হলে।

বন্ধ্যাত্বের রোগ নির্ণয় :
স্বামীর ক্লিনিক্যাাল পরীক্ষা:
স্বামীকে পরীক্ষা করতে গেলে তার ইতিহাস ভাল ভাবে জেনে নিতে হবে। তার যৌনতন্ত্র গঠন স্বাভাবিক আছে কিনা। তা দেখতে নিতে হবে। স্বামীর নিউক্লিয়াসে ক্রোমজোম ঠিকমত আছে কিনা, বীর্যে শুকিট আছে কিনা দেখতে হবে।
বীর্যের মোটালিটি নির্দিষ্ট মাত্রায় আছে কিনা তা দেখতে হবে। গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভৃতি জাতীয় কোন যৌন রোগ কখনও হয়েছিল কিনা তা জেনেনিতে হবে।

স্ত্রীর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা :
স্ত্রীর বয়স, পেশ, যদি বয়স ৩৫ এর বেশী হয় এবং কর্মশীল হয়, তাহলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
লিউকোরিয়া (সাদাস্রাব), জরায়ু বা যৌনীর গোলমাল জনিত নানা রোগ থেকে বন্ধ্যাত্ব আসাতে পারে। ঠিক মতো জেনে নিতে হবে।
মাসিক ঠিক মতো হচ্ছে কি না তা জেনে নিতে হবে।
যোনীতে কোন অপরাশেন হয়েছিল কিনা তা জেনে নিতে হবে।
গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভৃতি জাতীয় কোন যৌন রোগ কখনও আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তা ভালো করে জেনিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

থুজা : গণোরিয়া চাপা দেওয়ার কুফল, জননেন্দ্রীয়ের ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রদাহ, বসন্তের টিকা দেওয়ার কুলফ, শীর্ণ বৃত্তের উপর মাংসালো আঁচিল বা রক্তাবুদ, ডিম্বকোষের প্রদাহ (ব্যাথা), বাম দিকে বেশী, প্রত্যেকবার ঋতুকালে বৃদ্ধি, স্বপ্নবহুল নিদ্রা, মৃত্যু ব্যাক্তির স্বপ্ন দেখে, ঘুমে বিছানার উপর ভেসে উঠে, হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাদের বন্ধ্যাত্ব রোগে থুজা ঔষধটি কার্যকর। এছাড়াও যদি স্বামীর গণরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস পাওয়া যায় তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই পর্যায়ক্রমে – থুজা ও মেডোরিনাম উচ্চ শক্তি বেশ কিছু দিন সেবন করতে হবে।

স্ট্যাফিসেগ্রিয়া : যদি কোন রোগী এম, আর করার পরে গর্ভধারণ না হলে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ২০০/১০০০ শক্তি এক ঘন্টা পর পর ২ মাত্রা প্রয়োগ করে ১০ দিন পর থুজা ১ ঘন্টা পর পর ২ মাত্র ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

ভাইবার্নাম প্রুনিফোলিয়াম Q : মাসিকের গোলমাল ও জরায়ুর স্থানচ্যুতিতে – ১০/১২ ফোটা করে এক ঢোক পরিমান পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার দুই থেকে তিন মাস সেবন করলে গর্ভ সঞ্চারের সম্ভবনা থাকে।

আয়োডিয়াম : রাক্ষুষে ক্ষুধা, রোগিনী ঠিকমত খায় তবুও শরীর ক্রমশঃ শুকিয়ে যেতে থাকে । স্তন একিবারে শুকিয়ে চুপসে যায়, গরম সহ্য হয় না, ডিম্বকোষ, জরায়ুর রোগে ভোগে প্রভতি কারণে নারী সন্তান জন্মদানে অসমর্থ হইলে উপকারী।

নট্রাম কার্ব : বীর্য নারীর জরায়ুতে না গিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কারণে সন্তান জন্মদানে অসমর্থ হলে কার্যকরী।

মেডোরিনাম : গণরিয়ায় আক্রন্ত স্ত্রীদের কুচিকিৎসায় স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে ডিম্বকোষে বেদনা, ডিম্বাশয় ব্যথা, বাম দিকে ডিম্বাশয় বেশি ব্যথা। ঋতু চক্র বা মাসিকে সমস্যা, রতিশক্তি বা কামোদ্দিপনা মোটেই থাকে না, মুখ মণ্ডল মোমের ন্যায় সাদা রক্তহীন হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয় তাদের বন্ধ্যাত্ব রোগে উপকারী।

সিপিয়া : স্বামী সংসারের প্রতি একেবারে উদাসীন, আপন জনের প্রতি অযত্ন, , শান্ত, ভীরু, অলস, কাজ কর্মে মন বসে না, প্রস্রাবে দুগন্ধ, শীতকাতর। টক, ঝাল প্রিয় খাবার, সবুজ বা শে^ত প্রদর সাদাস্রাব (লিকোরিয়া), যোনিদ্বার হাজিয়া যায়। যোনি দ্বার চুলকায়, ফুলে উঠে, যোনি দ্বার শুস্ক, সহবাসের সময় যোনি ব্যথা করে। জরায়ুর বৃদ্ধি, স্থানচুতি ও ঝুলে পড়ে, জ্বালা যন্ত্রণা হয়, মনে হয় তল পেটে একটি ভারী বস্তু যা যোনী পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে, যার জন্য পায়ের উপর পা রেখে চেপে বসে এরুপ স্ত্রীদের বন্ধ্যাত্বে সিপিয়া খুব কার্যকরী।

কোনিয়াম : এ ঔষধটি বান্ধ্যাত্বের উৎকৃষ্টি ঔষধ। ডিম্বকোষ দুর্বল ও ক্ষীণতার জন্য বন্ধ্যাত্ব। স্ত্রীর বা নারীর অনিয়মিত মাসিক, মাসিকে পরিমান কম, মাসিকে সময় স্তন শক্ত হওয়া ও ব্যথা করে, জরায়ু ও ডিম্বকোষ পীড়াগ্রস্থ নারীর মাথা ঘোরা এই লক্ষণে কোনিয়াম উপযোগী।

হেলোনিয়াস ডায়োইকা : নির্দিষ্ট সময়ে আগে অত্যান্ত বেশি পরিমাণে রক্ত স্রব হয়। রক্তস্রাব হওয়ার ফলে জরায়ু দুর্বল। প্রস্রাব প্রচুর পরিমাণে হয়, স্বচ্ছ ও শর্করাযুক্ত (ডায়াবেটিস), পানি পিপাসা বেশী, অস্থিরতা, খাওয়ার পরেও দেহ শুকিয়ে যায়। মেজাজ খিটখিটে, সহবাসে অনিচ্ছা, জরায়ুর স্থানচ্যুতি, জরায়ু গ্রীবায় ক্ষত, প্রচুর পরিমােেণ রজঃস্রাব হয় ও বন্ধ্যাত্ব।

বোরাক্স : রোগী সামান্য শব্দেও চমকে উঠা বোরাক্সের প্রধান লক্ষণ। সব সময় নিচে পড়ে যাওয়ার ভয়। যানবাহনে, পাহাড়ে, সিঁড়িতে উঠতে অতিরিক্ত ভয়। স্রাবের কারণে নারীদের বন্ধ্যত্বের জন্য উকৃষ্ট ঔষধ। এসিড স্রাবের কারণে শুক্রানু ক্ষতিগ্রাস্ত হয়ে মারা যায়। প্রচুর স্রাব ডিমের সাদ অংশের মত উষ্ণ এবং গরম।

ক্যালকেরিয়া কার্ব : স্বামী-স্ত্রীর যৌনতন্ত্রে কোন গোলমাল না থাকা সত্বেও যদি সন্তান না হয় তবে, মাসিক শেষে মাহিলদের ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০ শক্তি প্রতিদিন তিন দিন ১ মাত্রা করে ২/১ মাস সেবনে উপকার হয়।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা জন্য ব্যবহৃত কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :

অ্যাগনাস কাষ্ট : একজন পুরুষের যৌন ইচ্ছা এবং শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস পায়, লিঙ্গ শিথিল, ঠাণ্ডা এবং ফ্লালাডিয়াম ব্যবহার করা হয়। যৌনাঙ্গ বা লিঙ্গ শিথিল থাকে এবং দুর্বল ইরেকশনের সম্ভবনা থাকে।

সেলেনিয়াম : ধীর এবং দুর্বল ইরেকশন দ্বারা বৈশিষ্টযুক্ত ইরেক্টইল ডিসফ্যাংশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। অনিচ্ছাকৃত বীর্য ¯্রাবও একটি উপসর্গ হিসাবে ব্যবহার হতে পারে।

এক্সরে : যে সব পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা খুবই কম, এ ঔষধ সেবনে শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বৃদ্ধি করতে সক্ষম।

কোনিয়াম : যে সব পুরুষদের আর্কইটিসের কারণে বন্ধ্যাত্ব হয় তাদের ক্ষেত্রে এ ঔষধ ব্যবহার হয়। অণ্ডকোষ ফুলে যায়, বড়হ য়, এবং শক্ত হয়ে যায়, কোনিয়াম দমন যৌ ইচ্ছার ইতহাস সহ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বন্ধ্যাত্ব রোগে বায়োকিমিক চিকিৎসা :

প্রস্রাবে অত্যাধিক এসিড হওয়ার কারণে গর্ভধারণ না করলে – ন্যাট্রাম ফস – ৬X হইতে উচ্চ শক্তি ৩/৪টি বড়ি প্রতিদিন দুইবার কুসুম কুসুম পানির সঙ্গে সবনে সুফল পাওয়া যায়। নেট্রাম ফস : স্রাব হলুদ, পাতলা অম্ল, টক গন্ধ যুক্ত, ঘ্রাণে বমি আসে এ লক্ষণে উপকারী।

এডমিন বার্তা : হোমিও প্যাথিক ঔষধধে কোন ধরণে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। এ কারণে শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ওয়েবসাইডে প্রকাশিত তথ্যগুলো হোমিপ্যাথিক সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণে জন্য। তবে ঔষধ সেবনে আগে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগীতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com